Skip to content

Dear awesome lady, belated happy birthday!

মারি কুরির জীবন ছিলো সবচেয়ে রোমাঞ্চকর উপন্যাসের চেয়েও বেশি রোমাঞ্চকর।

পৃথিবীর সবচেয়ে মেধাবি বিজ্ঞানীদের একজন হয়েও নিজের গবেষনার কাজ অনেক জায়গাতেই তিনি নিজে উপস্থাপন করতে পারতেন না,তখনো মেয়েদের এভাবে প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা এমনকি বিজ্ঞানী সমাজও গ্রহণযোগ্য ছিল না।

এমনকি মারির কাজ যখন নোবেলের জন্য মনোনীত হয়, মারির নাম প্রথমে সেখানে রাখা হয়নি। তখনও কোন নারী নোবেল পুরস্কার পাননি, বিষয়টি ছিলো সবার কাছেই নতুন। কিন্তু কয়েকজন বিজ্ঞানী এই বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন। সে বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেলটি যায় দুই সহকর্মীসহ মারির ঝুলিতে।

নিজে আজীবন অর্থ-সঙ্কটে ভুগলেও তিনি পুরস্কার থেকে প্রাপ্ত অর্থের বেশির ভাগ ই তার দরিদ্র আত্মীয়-বন্ধুদের আর গবেষণায় বিলিয়ে দেন। মাত্র সাত বছর পর, মারি রসায়নে নোবেল জয় করেন।

মারি পৃথিবীর একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি দুটি ভিন্ন বিষয়ে নোবেল জয় করেছেন। মারির গবেষণা চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবির্তন আনে।

দারিদ্রতার জন্য, মেয়ে হবার জন্য, এমনকি পোল্যান্ডের নাগরিক হয়ে ফ্রান্সে প্রবাসি জীবনের জন্য তিনি আজীবন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, প্রাপ্ত সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু মারি মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে নীরবেই প্রমাণ করে গেছেন,ভালোবেসে করলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *