পর্ব ২ঃ ক্লিনিক্যাল রেকর্ড সংরক্ষণের গুরুত্ব
দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি আসলে ইদুর বা অন্য প্রানির উপর করা এক্সপেরিমেন্টের রেপ্লিকার মত ছিল। ধরা যাক, আমরা গর্ভকালীন সময় মায়ের শরিরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে সন্তানের ডিএনএ বা জিনোমের উপর কোনও প্রভাব পরে কি না, তা জানতে চাই। যেহেতু একজন গর্ভবতী মাকে ভিটামিন খেতে না দেয়া অনৈতিক ও সন্তান কে এর জন্য অসুখে ভুগতে হতে পারে, তাই আমি গবেষণাটি করব অন্য কোনো প্রানির উপর।
ধরা যাক,আমি ২০ টি গর্ভবতী ইদুরকে দুটি গ্রুপে ভাগ করলাম। ১০ টি কে আমি স্বাভাবিক খাবার দিলাম, ১০ টিকে এমন খাবার দিলাম যা তে ভিটামিন সি ছাড়া সব উপাদানই আছে। দুই গ্রুপের ইদুরের ছানাদের জিনোম সিকোয়েন্স করে পার্থক্যগুলো যাচাই করলেই আমরা পেয়ে যাবো আমাদের প্রশ্নের উত্তর। ডাচ দুর্ভিক্ষের পর আসলে মানুষের মাঝেই এমন একটি গ্রুপ (cohort) হয়ে গেলো যে, কোন প্রানীর মডেল নয়, বরং সরাসরি ওই শিশুদের রক্ত থেকেই জানা সম্ভব হোলো মায়ের পুষ্টির সাথে সন্তানের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক। ডাচ এই কোহোর্টটি গত কয়েক দশকে মা-শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষনাকে নিয়ে গেছে অনেকদূর।
ধন্যবাদ দিতে হয় ওই গবেষক-ডাক্তার-নার্সদের, যারা দুর্ভিক্ষের ওই দুঃসুময়েও নিয়মিত মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা, রক্তের স্যাম্পল সংগ্রহ করা, ও সকল তথ্যের রেকর্ড চমৎকার ভাবে সংরক্ষণ করেছেন। F1 দের এখনো কয়েক পছর পরপর follow up করা হচ্ছে এবং রক্তের sample সংগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকি, F1 এর সন্তানদেরও যথাসম্ভব follow up করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একজন রোগীর ও তার মা-বাবার (এমনকি নানা-নানি, দাদা-দাদির) জীবন-যাপনের ধরণ এবং রোগের ইতিহাস জানা থাকলে, রোগের কারণ জানা ও চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ণয় করা, দুটোই সহজ হয়।
এজন্য clinical history র রেকর্ড রাখাটা বেশ গুরুত্বপুর্ণ।
